খালেদার রায়ের কপি আজও মিলেনি

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮ সময়ঃ ৫:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:২০ অপরাহ্ণ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি ছয় দিন পরও আদালত কর্তৃপক্ষ কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের হাতে দিতে পারেননি।

খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া  বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, কপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। বিকেল ৪টা নাগাদ তা আইনজীবীদের দেওয়া যাবে।’

‘কিন্তু বিকেলে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এ মামলার রায়ের মূল কপি বিচারক বিকেল ৩টায় বেঞ্চ সহকারীর (পেশকার) কাছে কারেকশন করে দিয়েছেন। এখন এ রায়ের অনুলিপি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এ মামলার অন্যান্য কাগজ তৈরি হয়ে গেছে। তাই আজকে কপি পাওয়া যায়নি। আশা করা যায়, কাল হয়তো আমরা রায়ের কপি পাব,’ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বলেন সানাউল্লাহ মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মূল রায় ৬৩২ পৃষ্ঠা হলেও রায়ের অনুলিপি হবে ছয় হাজার পৃষ্ঠার বেশি। ওই অনুলিপি হাতে আসার পরই জামিনের জন্য আপিল করতে পারবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

আজ দুপুরে আদালতে গিয়ে দেখা যায়, রায়ের অনুলিপিকে কোর্ট ফি লাগানোর কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রায়ের অনুলিপির খবর নাই। এগুলো এজাহার, চার্জশিট, এফআর, জব্দ তালিকা, চার্জ গঠন, সাক্ষী, জেরা, ফরোয়ার্ডিং ইত্যাদি।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

অনুলিপি পাওয়ার পরের ধাপ

ওই কপি দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই আপিলে জামিনের আবেদন করা হবে। জামিন মঞ্জুর করা হলে ওই আদেশ ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পাঠানো হবে। এর পরে আদালতে আবার জামিননামা দাখিলের অনুমতি চাইবেন আইনজীবীরা। বিচারক ওই জামিননামা দেওয়ার অনুমতি দিলে খালেদা জিয়ার পক্ষে মুচলেকা (বন্ড) দিতে হবে। তখন একটি রিলিজ আদেশ কারাগারে পাঠানো হবে। ওই রিলিজ আদেশ পাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন, যদি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার না হন।

প্রতিক্ষণ/এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G